রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

এনএসইউ’র শিক্ষার্থী পায়েল হত্যা মামলার রায় দুপুরে

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০
  • ১৮৯ বার পঠিত

আদালত প্রতিবেদক: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।

রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে পায়েলের পরিবার। পায়েলের মা কহিনূর বেগম বলেন, প্রতি মুহূর্তে ওর অপেক্ষায় থাকি। ছেলে ফিরে আসবে না এটা মানতে পারছি না। যারা আমার বুক থেকে ওকে কেড়ে নিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি।

পায়েলের মামা মামলার বাদী গোলাম সরওয়ারদী বিপ্লব বলেন, নির্মমভাবে আমাকে ভাগ্নেকে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি।

রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে মর্মে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা।

এদিকে, মামলায় তদন্তের অনেক ত্রুটি আছে। ত্রুটিগুলো বিবেচনা নিলে আসামিরা খালাস পাবেন বলে আশা করছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধুর সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান পায়েল। নিখোঁজের একদিন পর ২২ জুলাই মুন্সীগঞ্জ উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে পায়েলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৪ জুলাই পায়েলের মামা গোলাম সোরওয়ার্দী বিপ্লব গজারিয়া থানায় মামলা করেন। পরে হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মামুন আল রশিদ। এরপর মুন্সীগঞ্জের আদালত থেকে মামলাটি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালিম তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন বিচার শুরু করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

গত ৪ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ১ নভেম্বর ধার্য করেন। মামলার তিন আসামি চালক মো. জামাল হোসেন, সুপাভাইজার মো. জনি ও হেলপার ফয়সাল হোসেন জামিনে ছিলেন। ওই দিন জামিন বাতিল করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com