হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুলহাস ও তার পরিবারের সদস্যদের একাধিক কোম্পানীর মালিক ও শেয়ারহোল্ডার সেজে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অনুসন্ধান চেয়ে সম্প্রতি দুদকে অভিযোগ দাখিল করেছেন এক ব্যক্তি।
দুদকে দাখিল করা ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, হোমল্যান্ড ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুলহাস গংরা এতোটাই শক্তিশালী যে, সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখলে বা অভিযোগ দিলে জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ণিত দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ এবং টাকা পাচারকারী লুটেরাজ মুহাম্মদ জুলহাস গং দের ফিরিস্তি তুলে ধরা হলো।
১) এই দুর্নীতিবাজ মোহাম্মদ জুলহাস ও তার দোসরেরা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিঃ এ ঘুরে ফিরে বারবার চেয়ারম্যান বানাচ্ছে জুলহাসকে, তাদের দুর্নীতির বরপুত্র সাজিয়ে লুটপাটের কারখানায় পরিনত করেছে। অধিকাংশ শেয়ারহোল্ডারকে জুলহাস তার পকেট বানিয়ে রেখে ফায়দা নিচ্ছে, এমডি কে তার পুতুল বানিয়ে যা খুশি তাই করানোর জন্য ইতিপূর্বে এমডি আজিজুল ইসলাম তালুকদার দুদকের জালে পড়েছিল তখন জুলহার বাহিনী কৌশলে তদবির করে এমডি কে ছাড়িয়ে এনে তাকে দিয়ে আবার যা খুশি তাই করেছে, এক পর্যায়ে জুলহাসদের অত্যাচারে এমডি, অব্যহতি নিতে বাধ্য হয়।
২) এই জালিয়াত মোহাম্মদ জুলহাস CITGO Bangladesh (Engine Lubricant) আমেরিকান লুব্রিকেন্ট ওয়েল কোম্পানীর বাংলাদেশের এজেন্ট কোম্পানীর এমডি সেজে এটাকে নোংরা ভাবে কুক্ষিগত করে পরিচালনা করেছে. এর কোন সঠিক হিসাব নিকাশ অন্য পরিচালক ও চেয়ারম্যানকে দেয়নি এমনকি মূল আমেরিকান কোম্পানীর সাথেও একই আচরণ করেছে যার কারণে দেশে বিদেশে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে অপরদিকে সরকারের রাজস্ব কর ফাকি দিয়ে জুলহাস কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে।
৩) এই লুটেরাজ মোহাম্মদ জুলহাস, হাসান ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পনী লিঃ নামের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এ কোম্পানীর আড়ালে চলে ট্যাক্স, ভ্যাট ফাকির মহাউৎসব, এরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে ধোকা দিয়ে থাকে তারা জাপান, জার্মান, তাইওয়ান, আমেরিকান, মাল বলে সাপ্লাই দেওয়ার নামে প্রকৃতপক্ষে তারা চায়না কোম্পনীর দুই নাম্বার মালামাল সাপ্লাই দিয়ে এক দিকে এদেশের জনগনকে ঠকাচ্ছে এবং সরকারকে ঠকাচ্ছে অপরদিকে তারা অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছে। এছাড়া মোহাম্মদ জুলহাসদের রয়েছে
ঢাকা শহরে একাধিক আলিশান বাড়ী এবং মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে হাউজিং ব্যবসা। এছাড়া আশুলিয়ার আশে পাশে রয়েছে শত শত বিঘা জমি, এদের পরিবার সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাকি দিচ্ছে দেদারছে। দীর্ঘ দিন ধরে এরা ব্যবসার আড়ালে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছে।
বর্নিত বিষয়গুলোর আলোকে এদের অবৈধ আয় ও সম্পদের হিসাব নিতে পারলে এবং এদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি আর রাজস্ব ফাকির ভয়াবহ চিত্র বেরিয়ে আসবে। আশাকরি এ বিষটি আমলে নিয়ে থাযথ ব্যবস্থা নিলে দুদকের প্রতি মানুষের আস্থা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের জনগন ও সরকার উপকৃত হবে।
এবিষয়ে জানার জন্য মোহাম্মদ জুলহাসের অফিসের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও কেউ রিসিভ করেনি।