ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কয়েকটি তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে নমনীয় হওয়ার কোনো বিকল্প ছিল না বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে দেরিতে হলেও পশ্চিমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিশ্ব। তবে এবার এসব নিষেধাজ্ঞার কয়েকটি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচামালের ঘাটতি দেখা দেয়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক সরবরাহও। বাড়তে থাকে খাদ্যসামগ্রীর দাম। যার বেশিরভাগ পণ্যের উৎপাদন ও জোগানদাতা রাশিয়া। অথচ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়ার বিভিন্ন নৌ ও বিমানবন্দরে আটকে যায় মিলিয়ন মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য। চলমান সংকট মোকাবিলায় রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি, নৌ ও বিমান চলাচল এবং তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে তেল রপ্তানির বিষয়ে নমনীয় হয়েছে ইইউ।
এদিকে ইইউর এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেরিতে হলেও পশ্চিমারা বুঝতে পেরেছে রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধিতার পরিণিতি সম্পর্কে।