মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন, বোরহানউদ্দিন, সাইফুল আলামিন, মাহফুজুল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে জামিল, মো. জসীমউদ্দিন, মিন্টু প্রধান ও পলাশ। তাদের মধ্যে পলাশ পলাতক রয়েছেন।
নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসাম উকিল হাসানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া নিম্ন আদালতে তিন বছর করে কারাদণ্ড পাওয়া আসামি আবদুল বাতেন, শাজাহান জমাদ্দারের দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহ মো. আশরাফুল হক জর্জ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহ মো. আশরাফুল হক জর্জ রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ মে সাভারের আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই আসামিকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এ আদেশ দেন।
পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।
পুলিশ জানায়, মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে সাত আসামিই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজার শাখায় ডাকাতি হয়। পালানোর সময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে ব্যাংকের কর্মচারীসহ আটজন নিহত হন। লুট করা হয় ৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৩ টাকা।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২২ এপ্রিল ব্যাংকের কর্মকর্তা ফরিদুল হাসান আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে, ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় আশুলিয়া থানা-পুলিশ। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ বছরের ২১ জানুয়ারি ১১ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন। মোট ৯৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।