ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারত্ব পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি ভাগাভাগির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আমাদের উভয় পক্ষের প্রতিটি প্রচেষ্টা শুধু এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে যে, উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে।
জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক প্রকৃতপক্ষে ট্র্যাজেডি, আত্মত্যাগ এবং মানবিক দুর্দশার অনন্য পরিস্থিতিতে এবং একটি নৃশংস ও গণহত্যাকারী নিপীড়কের মুখোমুখি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছিল। ১৯৭১ সাল থেকে যে বন্ধন আমাদের টিকিয়ে রেখেছে, তা সেই ভিত্তির ওপরই গড়ে ওঠে এবং আরো অনেক দূর এগিয়ে যায়।
দোরাইস্বামী বলেন, আজ আমরা উভয়ই স্বাধীন, সমান, সার্বভৌম জাতি। যেখানে অভিন্ন ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সহস্রাব্দ-পুরাতন বন্ধন, সেই সাথে সম্প্রীতিপূর্ণ সহ-অবস্থানের মূল্যবোধ, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তির প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। আমরা সত্যিকারের বহুত্ববাদী মূল্যবোধ দ্বারা অনুপ্রাণিত।
তিনি বলন, আমরা উভয়েই বুঝি যে, জাতীয় অগ্রগতি কেবল ন্যায়পরায়ণতা, সহানুভূতি এবং সকলের জন্য সমান সুযোগের মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে। আমাদের অনন্য অংশীদারত্ব এবং বন্ধুত্বের এই ৫০ বছরে আমাদের বন্ধুত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বলা বা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আর সব ধর্মের মূল বাণীও একই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্পিরিটও ছিল এটি।
আগামী বছরগুলোতে ভারতীয় ও বাংলাদেশিরা প্রতিটি উৎসবকে উদযাপনের মাধ্যমে উপমহাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় অঞ্চলে পরিণত করবে বলেও প্রত্যাশা করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।