মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটে জাতীয় পার্টির বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ শিক্ষাবিদ হাসানুজ্জামানের ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা’ বই প্রকাশিত হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনর কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র ডা: তাহসিন বাহার সূচনা ভারতের মসলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্বেগ গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অযত্নে পড়ে আছে ৬৫০ কোটি টাকার ডেমু ট্রেন, অনিয়ম-দুর্নীতিতে স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণখানে রিকশাচালকদের মাঝে পানি বিতরণ করলেন খন্দকার সাজ্জাদ খালের কচুরিপানা উচ্ছেদে নেমেছেন ডা. প্রান গোপাল দও এমপি। এমপি’র নাম ভাঙ্গীয়ে জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে হুমকি

শুধু আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৮৩ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি নিজে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি। শুধু আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল।’

প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

বিবিসির সাংবাদিক লরা কুনেসবার্গের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রতিষ্ঠার জন্যই আমার সংগ্রাম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুমের বিষয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে পারেন, কিন্তু তা কতটা সত্য, তা বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, প্রকাশ্যে বা গোপনে সামরিক শাসক ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আমার বাবাকে (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) হত্যা করা হয়। তিনি তখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং আপনি জানেন যে আমার পুরো পরিবার–আমার মা, আমার তিন ভাই, দুই ভাতৃবধূ, পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ মোট ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, তারপর থেকে ২১ বছর ধরে বাংলাদেশ বারবার অভ্যুত্থান প্রত্যক্ষ করেছে। প্রায় ২০ বার অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে এবং প্রতিবার রক্তপাত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেখানে (বাংলাদেশ) গণতন্ত্র ছিল না, গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, তাই আমি আমার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি।’

নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই অভিযোগ করতে পারে, কিন্তু এটা কতদূর সত্য, বিচার করতে হবে। এটা জানার আগে কেউ কোনো মন্তব্য করবেন না।’

তিনি বলেন, সামরিক শাসকরা দীর্ঘদিন ধরে দেশ শাসন করেছে, তারা দল গঠন করেছে এবং ভোটের জন্য তারা কখনো জনগণের কাছে যায়নি।

হাসিনা বলেন, তারা (সামরিক স্বৈরশাসক) সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করেছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য সবকিছু ব্যবহার করেছে।

 

নিখোঁজের অভিযোগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবিসির সাংবাদিককে প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনার দেশে এবং অন্যান্য দেশে কত লোক নিখোঁজ হয়েছে? আপনি বিচার করতে পারেন। এসব বিষয় আমি মনে করি, প্রথমে আপনাকে (বিবেচনায়) নিতে হবে। সমস্ত তথ্য আপনার সংগ্রহ করা উচিত, তারপর আপনি অভিযুক্ত করতে পারেন।’

কমনওয়েলথের গুরুত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই (এর মূল্য অনেক বেশি), যখন আমরা একসঙ্গে থাকি, সেখানে অনেক সুযোগ থাকে। তাই, এটা ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের একটা জায়গা আছে, যেখানে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করতে পারি। কিছু ধারণা গ্রহণ করতে পারি বা দেশ বা জনগণের জন্য কিছু ভালো কাজ করতে পারি। তাই, আমার মনে হয় এটা ভালো।’

তিনি বলেন, বর্তমানে, আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে একটি দেশ একা চলতে পারে না। কারণ, এটি একটি আন্তঃনির্ভর বিশ্ব। সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে, সদস্যদেশগুলোর জন্য কমনওয়েলথের অর্থ অনেক বড়। প্রতিটি দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। কারণ, অনেক দেশ আছে–উন্নত দেশ, উন্নয়নশীল দেশ এবং দরিদ্র দেশ, ছোট দ্বীপদেশ।’

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতি নিয়ে শেখ হাসিনা জানান, ১৯৬১ সালে যখন তিনি (রানি) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছিলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) তাকে (ব্যক্তিগতভাবে প্রথমবার) দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন আমরা খুব ছোট এবং আমার বাবার (বঙ্গবন্ধু) অফিসে গিয়েছিলাম। কারণ, আমরা জানতাম যে তিনি (রানি) সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই, আমরা সবাই, পুরো পরিবার, দূরবিন নিয়ে জানালায় অপেক্ষা করেছি। ফলে আমরা তাকে (রানি) আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি।’

‘যখন প্রধানমন্ত্রী হই, প্রতিটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে রানির সঙ্গে দেখা করি,’ প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় সাতটি কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। প্রতিবারই আমি তার (রানি) সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।’

রানির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী অলিম্পিক গেমসে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বলে তারা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন।

রানির সঙ্গে সুন্দর স্মৃতির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার (রানি) চমৎকার স্মৃতিশক্তি ছিল এবং তিনি আমাকে না দেখলে হাসিনা কোথায় ছিলেন বলতেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি কমনওয়েলথেরও একজন নেতা। কমনওয়েলথ দেশগুলোর একজন সদস্য হিসেবে, তিনি আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান ছিলেন।’

প্রয়াত রানির প্রায় ৭০ বছরের রাজত্বের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি যে এই বিশ্বের জন্য তিনি কেবল একজন রানিই ছিলেন না, তিনি একজন অত্যন্ত স্নেহময় এবং মাতৃত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বও ছিলেন। যখনই আমি তার সঙ্গে দেখা করেছি, আমি এটি অনুভব করেছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com