ঝুঁকিপূর্ণ সাগরপথ পাড়ি দিতে গিয়ে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের মৃত্যুহার বেড়েছে। শুধু ২০২২ সালেই আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ৩৪৮ রোহিঙ্গা। এমনকি যাত্রাপথে খাদ্য-পানির অভাবে মৃত্যু হয়েছে আরও প্রায় ২০০ জনের। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরার।
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবন বাঁচাতে ঝুঁকিপূর্ণ সাগরপথ পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশি দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। যাত্রাপথে নৌকাডুবে ও অনাহারে মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটি বলছে, সাগরপথে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নৌযাত্রার হার প্রতি বছর ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র ২০২২ সালেই পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেড়েছে ৫ গুন। গেল বছর এই দুই দেশ থেকে পালানো রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৩ হাজার ৫শ’র বেশি।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতেই রোহিঙ্গারা সাগরপথে পাড়ি জমাচ্ছেন। ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ এ যাত্রায় গেলো বছর আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ৩৪৮ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু। এছাড়া যাত্রাপথে খাদ্য-পানীয়র অভাব ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৮০ জনের।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, কেবলমাত্র নিরাপত্তা, সুরক্ষা, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটু ভালো দিন যাপনের আশায় এসব রোহিঙ্গারা ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছেন। যার শুরুটা হয় ২০১৭ সালে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।