নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: জাতীয় সংসদ থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সদ্যপ্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সোমবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে সংসদ থেকে বিদায় জানানো হয় তাকে।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অস্থায়ী মঞ্চে রাখা হয় এরশাদের মরদেহের কফিন। তারপর নামাজে জানাজা শেষে একে একে শ্রদ্ধা জানানো হয় বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি। প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন। পরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। সরকারি দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সোমবার বেলা পৌনে ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ অন্যান্য সংসদ সদস্যরা।
এর আগে বেলা সোয়া ১০টার দিকে তার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছায়। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা দলে দলে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আসতে থাকেন। পুরো সংসদ ভবন এলাকায় তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়।
ঠিক ৫ মাস ৫ দিন আগে ১০ ফেব্রুয়ারি এই সংসদেই এসেছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে। সেদিন হুইল চেয়ারে করে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এত দিন পরে শেষ বিদায় নিতে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সাবেক রাষ্ট্রপতির লাশের কফিন।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এরশাদ। পরে ওইদিন বাদ জোহর সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সদ্যপ্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।