সিটিজেন প্রতিবেদকঃ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। শিক্ষাভবনের সামনে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। এই সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসি থেকে সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ব্যানারে ওই মিছিল শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে।
রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভকারীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জড়ো হয় এবং সেখান থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পুলিশ আগে থেকেই শিক্ষা ভবনের সামনে ব্যারিকেড দিয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা ওই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে জলকামান ব্যবহার করে। সে সময় পুলিশ দুইটি সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করেছে।
সেখানে কয়েক মিনিট ধরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীরা দোয়েল চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে সরে যায়। বর্তমানে তারা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়েছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একদল লোক পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যান। একই সময়ে পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামে একটি সংগঠন বুধবার সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও এর কর্মসূচি দেয়। সকাল থেকেই ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’র ব্যানারে একদল লোক এনসিটিবির সামনে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখানে যান ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারধারীরা।
‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারধারীরা এনসিটিবির সামনে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে মাঝে অবস্থান নেয়। তখন দুই পাশ থেকে দুই পক্ষ পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। দুপুর ১টার দিকে কিছু লোক সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আসা দলটির ওপর হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক ও নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তারই প্রতিবাদে আজকের এই কর্মসূচি ছিল।