আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজ শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবে আফগানিস্তান। এই ভোটের মাধ্যমে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। দেশটিতে দীর্ঘদিনের সহিংসতা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে বিভিন্ন স্থানে ভোটকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগণ বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন। ইতোমধ্যেই তালেবানের তরফ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, তারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য বিভিন্ন পোলিং স্টেশন লক্ষ্য করে হামলা চালাবে।
প্রায় চার দশক ধরে চলা সহিংসতায় ধ্বংসপ্রাপ্ত আফগানিস্তানকে তুলে ধরতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। তাই আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জনগণ তাদের ভাগ্য ফেরাতে যোগ্য নেতাকেই বেছে নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দীর্ঘ দিনের সংঘাতে প্রায় প্রতি বছরই কয়েক হাজার মানুষ সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। প্রায় দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্প্রদায় আফগানিস্তানের সহিংসতা বন্ধে হস্তক্ষেপ শুরু করে। সংঘাতের সমাপ্তি ঘটাতে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে আফগানিস্তানে প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।
অপরদিকে, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ইতালিরও কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। ২০০১ সালের পর এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।