আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধর্মের নাম করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আর কোনো মন্দিরে পশুবলি দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্যটির সর্বোচ্চ আদালত। এমনকি খোদ রাজ্য সরকার চাইলেও দিতে পারবেন না।
২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন। হাইকোর্ট বলেছে, পশুপাখিদেরও বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার আছে। ত্রিপুরার কোনো মন্দিরে আর পশুবলি দেয়া যাবে না। পশুবলির অনুমতি দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। এমনকি, সরকার নিজস্ব উদ্যোগেও দিতে পারবে না।
এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকরের জন্য জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ত্রিপুরার বেশ কিছু মন্দিরে অসংখ্য পশুবলি হয়। অধিকাংশ বলির খরচ সরকার নিজেই জোগায়। সেদিকে বিশেষ নজর দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ত্রিপুরেশ্বরী এবং চতুরদাস দেবতা মন্দিরে সিসিটিভি বসানোরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কয়েক বছর আগে ত্রিপুরা রাজবাড়ির দুর্গাপূজা দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ সুভাষ ভট্টাচার্য। সরকার পরিচালিত এ পূজায় নবমীর দিন মহিষ বলি দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। এর জের ধরে গত বছর একটি জনস্বার্থ মামলা করেন সুভাষ। গত তিন দিন ধরে সেই মামলার শুনানি চলে ডিভিশন বেঞ্চে। রাজ্যের পক্ষ থেকে বলি বন্ধের বিরোধিতা করা হয়। রাজ্য সরকারের আইনজীবী যুক্তি দেন, শত শত বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে।
কিন্তু সুভাষ পালটা যুক্তি দিয়ে দেখান, বেদ বা উপনিষদে কোথাও লেখা নেই বলি না হলে হিন্দু ধর্ম পালনে ক্ষতি হবে। সেই যুক্তি মেনে নেয় আদালত।