আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত প্রায় একশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। একে অর্থহীন প্রাণহানি বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। গত কয়েকদিন ধরেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ইরাকের হাজার হাজার মানুষ। তবে প্রথমদিকে এই বিক্ষোভ স্বাভাবিক থাকলেও পরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। ইরাকে সহিংস বিক্ষোভ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা দেশের বেকারত্ব, সরকারি সেবার নিম্নমান এবং দুর্নীতি বন্ধের বিরুদ্ধেই রাজপথে নেমেছেন। ইরাকে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের প্রধান জেনিন হেনিস প্লাসচায়ের্ট বলেন, পাঁচদিন ধরে প্রাণহানি ঘটছে। মানুষ আহত হচ্ছে। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, যারা এই প্রাণহানির পেছনে দায়ী তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। শনিবার বাগদাদের পূর্বাঞ্চলে একটি বড় সমাবেশ ভেঙে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
রাজধানী বাগদাদে সর্বশেষ সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী আবারও তাজা বুলেট এবং টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইরাকি পার্লামেন্টের হিউম্যান রাইটস কমিশন জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৯ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় চার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এক বছর আগে আদেল আবদেল মাহদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই বিক্ষোভকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
কারফিউ জারি করে এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার দিনের বেলা কারফিউ তুলে নেয়া হয়। এরপরেই ছোট ছোট বিক্ষোভকারী দলগুলো নতুন করে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেছে।