আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সহিংসতায় সোমবার আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েকদিনের সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
সোমবার রাতে রাজধানী বাগদাদের সদর সিটিতে জড়ো হতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। এর আগেও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তীব্র সংঘর্ষ ঘটে।
গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। প্রথমদিকে বেকারত্ব, দারিদ্র্য এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরোব হয়ে বিক্ষোভ শুরু হলেও পরে তা সহিংসতায় রুপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ জল কামান ও তাজা বুলেট ছুড়েছে। গত কয়েক দিনের সহিংসতায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
এক বছর আগে আদেল আবদেল মাহদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই বিক্ষোভকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সদর সিটিতেই সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বাগদাদের ৮০ লাখ মানুষের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মানুষ বিদ্যুৎ, পানি এবং চাকরির সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে সরকারবিরোধী ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই বাগদাদে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে যেন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে না পারে। তবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ায় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়ে গেছে এবং পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে।