চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংবাদ সম্মেলন গণপরিবহন সংকট কাটাতে জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম নগরীতে ১০০টি এসি বাস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন সংকট কাটাতে তিন রঙের ১০০ এসি বাস চালু করা হবে। ইতোমধ্যে স্টপেজের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জানুয়ারিতে তিনটি রুটে এসব গাড়ি চালু করা হবে।’
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে করে এ তথ্য জানান মেয়র। গত চার বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত পঞ্চম পরিষদের গৃহীত ও বাস্তবায়িত কর্মকাণ্ডসমূহ তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নগর থেকে প্রায় চার হাজার বিলবোর্ড, ইউনিপোল, মেগা সাইন বোর্ড অপসারণ করে নগরীকে শতভাগ বিলবোর্ডমুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান মেয়র। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। জনগণের স্বার্থে দিনের পরিবর্তে রাতে বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ কার্যক্রম চালু করেছি। বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণের সনাতনী পদ্ধতি পরিবর্তন করে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ পদ্ধতি চালু করেছি। নগরের ১ হাজার ৩৭৫টি খোলা ডাস্টবিন থেকে ৮২৫টি অপসারণ করা হয়েছে। আমরা ৯ লাখ বিন বিতরণ করেছি। ১৯৭২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়েছি। আমাদের সফল হতেই হবে। সত্যিকারের ক্লিন সিটি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক হাজার ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত সাত ফুট প্রস্থ, দুই দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন খাল খননের কাজ চলছে। নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিমানবন্দর সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প নিয়েছি।’
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরে উন্নয়ন কাজ হয়েছে প্রায় ২৫’শ কোটি টাকা। আর আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে নগরে আগের ৫৬০ কিমি সড়ক বাড়িয়ে ৮১৬ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং, ২২২ কিলোমিটার কংক্রিট সড়ক বাড়িয়ে ৩২৮ কিলোমিটার সড়ক কংক্রিট, ৬৮৩ কিলোমিটার পাকা নালা এখন করা হয়েছে প্রায় ৯৪৬ কিলোমিটার পাকা নালা, ১৪৬ কিলোমিটার ফুটপাত বাড়িয়ে ২৭৮ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, ময়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।