নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ৩০ ডিসেম্বর ‘কালো পতাকা দিবস’ কর্মসূচিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। মৎস্যভবনের সামনে এ সংঘর্ষে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত বছরের এইদিনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির অভিযোগে সোমবার বেলা একটার দিকে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙ্গে বামজোটের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে যেতে চাইলে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশের লাঠিচার্জে জোটের বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, লাঠিচার্জের শিকার হয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী। ঘটনার পর থেকে হাইকোর্ট-মৎস্য ভবন এলাকায় কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল শুরু করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড়ে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পরে ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে আবারো বাধা দেয় পুলিশ।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাম জোটের নেতাকর্মীদের থামাতে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। তারা সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ বাম জোটের নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণংসহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে আমার মাথা ফেটে গেছে। অনেকে আহত হয়েছেন। বেশ কয়েক জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সিপিবি নেতা ক্বাফী রতন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশের হামলায় জোটের নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকীসহ ২৫-২৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
এদিকে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে গণতান্ত্রিক বাম জোট।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টিসহ বাম জোটভুক্ত দলগুলো সারাদেশে কালো পতাকা দিবস পালন এবং ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ডেকেছিল।