আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটিশ প্রিন্স উইলিয়ামকে নতুন রাজকীয় দায়িত্ব দিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ডিউক অব ক্যামব্রিজকে স্কটল্যান্ডের জাতীয় গির্জা দ্য চার্চ অব স্কটল্যান্ডের সাধারণ পরিষদের লর্ড হাইকমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন রানি। কিনসিংটন প্যালেসের এক টুইট বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল রোববার রাজকীয় এক ফরমান জারির মাধ্যমে উইলিয়ামকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। ছোট নাতি প্রিন্স হ্যারি ও নাতবৌ মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কল রাজপরিবার ছাড়ার এক সপ্তাহের মাথায় নতুন এ নিয়োগ দিলেন রানি।
উইলিয়ামকে নতুন দায়িত্ব দিয়ে রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতিবছর লর্ড হাইকমিশনার নিয়োগ দিয়ে থাকেন রানি। তারই ধারাবাহিকতায় এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়, দ্য চার্চ অব স্কটল্যান্ড এক ধরনের প্রেসবিটেরিয়ান গির্জা, যেখানে যিশুখ্রিস্টকে একই সঙ্গে গির্জার রাজা ও প্রধান ভাবা হয়। গির্জাটি সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্ক সেশন ও জাতীয় পর্যায়ে জেনারেল অ্যাসেম্বলির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্য মতে, নতুন দায়িত্বে রাজ্য ও চার্চের মধ্যকার সম্পর্ক দেখভাল করবেন প্রিন্স উইলিয়াম।
চার্চ অব স্কটল্যান্ডের কমিশনার সাধারণত স্কটিশ বংশোদ্ভূত হন। কিন্তু রাজপরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতীতে রাজপরিবার থেকে কমিশনার নিয়োগের নজির রয়েছে।
সম্প্রতি প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কল রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। চলতি মাসের শুরুর দিকে রাজদায়িত্ব ত্যাগ করে স্বাধীন জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত জানান তারা।
তাদের এ সিদ্ধান্তের পর বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে জানায়, ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেলের রাজকীয় পদবি আর থাকছে না। এমনকি তারা রাজপরিবারের হয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য যে অর্থ পেতেন সেটাও আর পাবেন না। আসছে বসন্ত থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এমনকি যুক্তরাজ্যে এই দম্পতির ফ্রগমোর কটেজ সংস্কারে সরকারি কোষাকার থেকে যে ২৪ লাখ পাউন্ড ব্যয় হয়েছে, ওই অর্থ হ্যারি এবং মেগানকে পরিশোধ করতে হবে বলে জানায় বাকিংহাম প্যালেস।