রংপুর প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার পাটোয়ারীটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুর্বের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায়, চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হন ৪ জন তারা হলেন , উমর ফারুক,শরিফুল ইসলাম, রাশেদা আক্তার ও শেফালী আক্তার। নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যগণ সভাপতি গঠন করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজ করার কথা থাকলেও।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন থামিয়ে রাখতে বিধি মালা ও নীতি মালার বাহিরে কৌশলে প্রতিষ্ঠানে যার সন্তান নেই সেই সকল ব্যক্তিকে বিদুৎসাহী ও সভাপতি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক সামছুল হকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত ৪ অক্টোবর বিদ্যালয়ের নব নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য শরিফুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। যার অনুলিপি পেয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং প্রেসক্লাব কালীগঞ্জ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী কোন সরকারী/বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক/শিক্ষিকার মধ্যে শিক্ষক প্রতিনিধি নেয়ার নিয়ম থাকলেও প্রধান শিক্ষক নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠান ব্যাতিত দুরবর্তী একটি মাদরাসা থেকে একজন শিক্ষক প্রতিনিধি নেয়ার পায়তারা করছেন।
প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট আরও উল্লেখ রয়েছে যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই অনার্স (স্নাতক) পাশ হতে হবে। একই সাথে প্রার্থীর সন্তানকেও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে সভাপতি প্রার্থীর সন্তানকে অবশ্যই ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে হবে। এছাড়া বিদ্যোৎসাহী সদস্যদেরও সন্তান বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী হতে হবে এবং তাদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম এসএসসি হতে হবে। কমিটির সভাপতিকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। এমন শর্ত যুক্ত করে প্রাইমারী স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে নতুন নীতিমালা জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে সু-স্পষ্ট বলা আছে কোন সরকারী প্রাথমিক বিদালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি দ্বিতীয় বারের পরে আর তৃতীয় বার হতে পারবেনা।
এ বিষয় নবনির্বাচিত অভিভাবক সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন , বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিজের পছন্দ মতো দুরবর্তী প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক প্রতিনিধি এবং অত্র প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী নেই এমন ব্যক্তিকে বিদ্যুৎসাহী ও সভাপতি নেয়ার পায়তারা করছেন। তিনি কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেনা।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আইনানুগভাবে দেখার জন্য এলাকাবাসী উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয় অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামছুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, প্রজ্ঞাপনের বাহিরে কমিটিতে কেউ আসতে পারবে না। প্রজ্ঞাপন ব্যতিত কমিটি গঠন করে থাকলে শিক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে ও জানান তিনি
এ জাতীয় আরো খবর..