প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশের কর্মীরা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং দায়িত্বশীল। তারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে অবদান রাখছে। বাংলাদেশী কর্মীদের দক্ষতার মানোন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর অফিস কক্ষে কাতারের শ্রম মন্ত্রীর আলী বিন সামিখ আল মাররির সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে তারা কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্নয়ন, কাতারের শ্রম আইন,কর্মীদের সামগ্রিক সুরক্ষা ও দায়িত্ব কর্তব্য অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় কাতারে নার্সিং, হসপিটালটি, নির্মাণ, সেবা এবং আইটি খাতে বাংলাদেশ হতে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
কাতারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের কাফালা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এবং ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ বিষয়ে কাতারের ইতিবাচক সংস্কার একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
কাতারের শ্রমমন্ত্রী আলী বিন সামিখ আল মাররি বাংলাদেশী কর্মীদের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, কাতারের শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। এ আইনে দেশীয় শ্রমিকদের মতো বিদেশি শ্রমিকরা যাবতীয় সুবিধাদি পাবে।
কাতারের ক্রমবর্ধমান শ্রমবাজারের উপযোগী দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি জানান, নিয়োগকর্তারা বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আইন পরিপন্থী কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কাতারে কমরত শ্রমিকদের জন্য ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠন করা হয়েছে। কোন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পাওনা পরিশোধ করতে অসমর্থ হলে এই তহবিল থেকে অর্থ প্রদান করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে তিনি কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশী কর্মীদের কাতারের আইন মেনে চলার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন। কাতারের শ্রমমন্ত্রী তাদের দায়িত্ব কর্তব্য অধিকারের বিষয়ে আরো সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, কাতার শ্রম মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি হাসান আল ওবাইদলি, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)’র মহাপরিচালক শহীদুল আলম ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।