নিজস্ব প্রতিবেদক:
অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টি ফোর.কমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির সংবাদদাতা গোলাম রাব্বানী নাদিম দুর্বৃত্তদের হামলায় খুন হয়েছেন। সাংবাদিক নাদিমের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ সভা ও মানববন্দন করেছেন রাজধানীর উত্তরা প্রেসক্লাব।
আজ শনিবার বেলা ১১ টায় রাজধানী উত্তরা পূর্ব থানার পাশে ঢাকা বিমানবন্দর টঙ্গি মহাসড়কে উত্তরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্দন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্দন বেলা ১১ টায় শুরু হয়ে ১২ টায় শেষ হয়।
উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: বদরুল আলম মজুম দারের সভাপতিত্বে এবং ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারির সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম (দৈনিক যুগান্তর), সাবেক সভাপতি মো: রাসেল খান,( মানবকন্ঠ) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচন কমিশনার মনির হোসেন জীবন,(বাসস) সিনিয়র সাংবাদিক শেখ জুয়েল আদনান, সাধারণ সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন (যুগান্তর) , দৈনিক আমার প্রানের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, টাপুরটুপুর পত্রিকার সম্পাদক মো: মাসুম বিল্লাহ, একে আজাদ, (বিজয় টিভি), সিনিয়র সদস্য বাবুল বিক্রমপুরী, হুমায়ন কবির, ইয়াসিন, উত্তরা প্রেসক্লাবের নারী বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা আক্তার পুষন, মো: রিপন, শাকিবুল হাসান, কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্য ও অন্যান্য নেতারা এসময় উপস্হিত ছিলেন।
উত্তরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক নাদিম হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে যারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির ও দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক নাদিম জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমেরচর গ্রামের আবদুল করিমের পুত্র। গত বুধবার (১৪ জুন) অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম ও তার সহকর্মী আল মুজাহিদ বাবু। পথে বকশিগঞ্জ পাথাটিয়ায় এলে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর দেশীয় অস্ত্রধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনে হিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যান এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। সে সময় সহকর্মী মুজাহিদ তাদের আটকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মী মুজাহিদ ও স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠান। এরপর বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বেলা পৌনে ৩টার দিকে মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়।