ফরিদপুর প্রতিনিধি
নৌকা মার্কার প্রার্থী ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবে না বলে একপ্রকার হুমকি দিলেন ফরিদপুর জেলা যুবলীগের নেতা শরীফ সেলিমুজ্জামন লিটু। নিজ এলাকা বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়নে নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে এক জনসভায় তিনি এই হুমকি দেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামচন্দ্রপুর বাজারে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ওই জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার। সেখানেই বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের সদস্য ও চতুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামন লিটু।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, লিটু তার বক্তব্যে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে নৌকার বাইরে ভোট দেওয়া বা অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার সুযোগ নেই বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
শরীফ সেলিমুজ্জামন লিটু হুমকি দিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী হোক বা বিএনপি হোক, অন্য কোনো দলের প্রার্থী নেই। তাই অন্য প্রার্থীর কাজ করার কোনো সুযোগই নেই। প্রকাশ্যেও নেই অপ্রকাশ্যেও নেই। এখানে নির্বাচনে নৌকার বাইরে কোনো এজেন্ট থাকবে না। ভোটের দিন আমিও জালাল বিশ্বাস এখানে সারাদিন বসে থাকবো। চালাকি করার কোনো সুযোগ নেই।
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসন। দুর্নীতি আর বিতর্কের কারণে একাদশ সংসদে মনোনয়ন না পাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আব্দুর রহমানকে এবার প্রার্থী করেছে দলটি।
তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচার শুরু না হলেও আব্দুর রহমানের পক্ষে আগাম প্রচারের অভিযোগ আসছে প্রতিদিন। স্থানীয় সরকার বিভাগের কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তার নির্বাচনী কাজে পৌরসভা কার্যালয় ও সরকারি গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে।
এই আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান ছাড়াও ভোটে লড়ছেন হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী খ্যাতনামা সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন। এছাড়াও ভোটের মাঠে রয়েছেন জাতীয় পার্টি, বিএনএম ও সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী।
যুবলীগ নেতার হুমকিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে শঙ্কা করছেন অন্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলেই তাদের অভিযোগ। ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট থাকতে না দেওয়ার হুমকির বিষয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিতেও দাবি তুলেছেন প্রার্থীরা।