নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: রাজধানীর ওয়ারী বনগ্রামের নির্যাতনের পর সামিয়া আফরিন সায়মা (৭) নামে এক শিশুকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে শিশুর বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ওই ঘটনায় ভবনে মালিকসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান আলোকিত নিউজকে বলেন, ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। শতভাগ নিশ্চিত হতে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষা করা হবে। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ঘটনা স্পষ্ট হবে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ওয়ারী থানার এক কর্মকর্তা জানান, ওই ঘটনায় ভবনের মালিক, বাসার দারোয়ান ও দারোয়ানের ছেলেসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নব নির্মিত ভবনটির ৯তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটের ভেতরে সায়মার মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯তলা ওই ভবনের ৬তলায় পরিবারের সাথে থাকত সায়মা। বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা। ওয়ারী সিলভারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়ত সায়মা।
বাবা আব্দুস সালাম জাগো আলোকিত নিউজকে বলেন, সন্ধ্যার পর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার মাকে বলে ‘আমি উপরে পাশের ফ্ল্যাটে যাচ্ছি, একটু খেলাধুলা করতে।’ এরপর থেকে নিখোঁজ হয় সায়মা। অনেক খোঁজা-খুঁজির পর ৯তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে গলায় রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পাই।
মরদেহ উদ্ধারের পর রাতে ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান আলোকিত নিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিশুটির মুখে রক্ত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।