একজনের বাড়ি ভারতে, আরেকজনের বাংলাদেশে। সীমান্তবর্তী মাথাভাঙা নদীর ঘাটে পরিচয় হয় সঞ্জনা ও লাভলুর। সেই পরিচয় থেকে প্রেম। তবে বিপত্তি বাধে সীমান্তের কাঁটাতার। একপর্যায়ে স্কুল ফাঁকি দিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে নদী পার হয়ে লাভলুর বাড়িতে হাজির হন সঞ্জনা। এরপর তৈরি হয় আইনি জটিলতা। পরে আদালতের মাধ্যমে দুইজনে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের সুখের রয়েছে দুই সন্তান।
জানা যায়, সঞ্জনা ভারতের নদীয়া জেলার চর মেঘনার মেয়ে। লাভলুর বাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা জামালপুরে।
সঞ্জনা জানান, নদীর ঘাটে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে একদিন বন্যার সময় ভরা নদী সাঁতরে চলে আসেন লাভলুর বাড়িতে। পরে আইনি ও ধর্মীয় সব জটিলতা সামলে বিয়ের পর সুখে সংসার করছেন তিনি।
লাভলুর বাবা ইদ্রিস আলী বলেন, সব বাধা পেরিয়ে ছেলের ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমি সঞ্জনাকে নিজের মেয়ের মতো করেই দেখি। ভালোভাবে তারা সংসার করছে এবং ভালো আছে।
স্থানীয় প্রাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামন মুকুল বলেন, শুরুতে আইনি জটিলতা ছিল, পরে তা ঠিক হয়েছে। তারা এখন সুখে সংসার করছেন।