নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ৯ মার্চ রাজধানী উত্তরায় আলোর ধারা স্কুলের আয়োজন করেছে “শিক্ষা সংস্কৃতি ও ক্রীড়া উৎসব”। উক্ত উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে শিশু শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত চিত্রাঙ্কন, বিজ্ঞান প্রোজেক্ট, গণিত প্রোজেক্ট, বিষয়ভিক্তিক প্রোজেক্ট, স্বরচিত গল্প কবিতা, বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা “পুতুল বিয়ে”।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, নাট্যকার, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রাপ্ত ইসহাক খান, তিনি বলেন কোমলমতি শিশুদেরকে জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ সম্পর্কে জানতে হবে পড়তে হবে ইতিহাস , বাংলা ও বাংলা সংস্কৃতি সম্বন্ধে জানা টা এখন প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপরই নির্ভর করে এ জাতির সম্মান। তাই নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জেনে সামনে এগিয়ে চলতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যকার ও রবীন্দ্র গবেষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহফুজা হিলালী শিশুদেরকে পাখির সাথে তুলনা করে বলেন, এই পাখিদের ডাকে আমি এখানে চলে এসেছি যখন আমি হাতে চিঠিটা পেয়েছি তখন ভেবেছি এত সুন্দর নিমন্ত্রণ যারা করেছে তারা কত না সুন্দর আয়োজন করেছে। আজকে আয়োজন অনুষ্ঠান দেখে আমি মুগ্ধ। এই আলোর ধারা স্কুল ভবিষ্যতে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এবং বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব রওনক হাসান, বলেন আমি এখানে অভিভাবক হিসাবে আসতে চেয়েছিলাম, আসতে হয়েছে অতিথি হয়ে, আমার সন্তান আগে অনেক নামিদামি একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়তো। কিন্তু আলোর ধারা স্কুল থেকে সে যা শিখেছে বা জানতে পেরেছে তাতে আমি মুগ্ধ, আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে আছি থাকবো এবং আমার সন্তানও থাকবে আশা করি।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন আলোর ধারা স্কুলের সম্মানিত অধ্যক্ষ নাছিমা আক্তার সীমা। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল আলোর ধারা স্কুলের পরিচালক রাকেশ চক্রবর্তী, রাজু আহমেদ ইবনে হাবিব, দেওয়ান শামসুল আলম সুমন। অতিথি শিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহনেওয়াজ সিদ্দিকী, অপরেশ বড়ুয়া, কাজী মোজাম্মেল হক।
চিত্রাঙ্কনে আছে প্রতিটি শিক্ষার্থীর আঁকা ছবি। শিশু থেকে ১০ ম শ্রেণির গণিতবিদ ও খুদে বিজ্ঞানীদের প্রোজেক্ট। এছাড়া আলোর ধারা স্কুল আয়োজন করেছিলো শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে। যেমন: হাতের সুন্দর লেখা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কণ, ক্রীড়া উৎসবে বিজয়ীদের। এভাবেই আলোর ধারা স্কুল শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকশিত করে যাচ্ছে। এরই ধারাবহিকতা বজায় থাকুক এই কামনায় সবার জীবন উন্মেষিত হোক আলোয় আলোয়।