ফরিদপুরের শহরতলীর কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন একই পরিবারের। ভয়াবহ এ সড়ক দুর্ঘটনার কীভাবে ঘটলো, এর বর্ণনা দিয়েছেন সাহানা বেগম নামের এক নারী। এছাড়া জেলা পুলিশ সূত্রেও তথ্য জানা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাহানা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। গাড়িটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝিতে এসে আঘাত করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি- পিকআপটি নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে আসার কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম মিলন (৪০), তার স্ত্রী সুমি (৩০) ও দুই ছেলে আবু রায়হান (৬) আবু সিনান রুহান (৫)। একই গ্রামের ওহাব মোল্যার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৭০)।
অন্যরা হলেন- আলফাডাঙ্গার মিল্টন শেখের স্ত্রী সোনিয়া (২৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের সূর্য (৬০), কুসুমদি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫)। এ পর্যন্ত ৯ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। এছাড়া নিহত রাকিবুলের বোন খুরিয়া বেগম (৭০) দুর্ঘটনায় আহত হন।
এদিকে, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, নিহতদের দাফনের জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া নিহত প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে।