উত্তরা সংবাদ দাতা : রাজধানী উত্তরায় তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাদী গতকাল সকালে বৃহত্তর উত্তরার সাংবাদিকদের সহিত মতবিনিময় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বদরুল আলম মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মো: মাসুদ পারভেজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ আজাদ, তরিক শিবলী, মোঃ শাহিন সহ আরো অনেকে।
জানা যায়, তিনি গত ৮ই এপ্রিল তুরাগ থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। মাত্র ১০ দিনের মাথায় তিনি থানার সেবামূলক বিষয়গুলোকে করেছেন ত্বরান্বিত, এনেছেন গতি।এসময় তিনি বলেন সাধারণ মানুষ থানায় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জিডি করেন কিন্তু সময় গড়িয়ে মাস পার হয়ে যায় তবুও জিডির কোন নিষ্পত্তি হয় না। যার ফলে সাধারন মানুষ থানা থেকে বিমুখ হতে শুরু করেছেন।
জানা যায়, তুরাগ থানা নতুন ওসি শেখ সাদী মাত্র ১০ দিনে ১০০ টি নতুন জিডির মধ্যে ৮০টি জিডি নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছেন। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলা হয়েছে দশটি এবং আসামি গ্রেফতার করে বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুরাগ থানার এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি শুনেছি কিছুদিন আগে নতুন ওসি এসেছে উনার সাথে আমার এখনো দেখা হয়নি তবে এলাকার অনেক পরিবর্তন চোখে দেখে বুঝা যায় তিনি একটু ব্যতিক্রমী।
তিনি আরো বলেন, এখন এলাকায় পুলিশ টহল দিনরাত দেখা যায়। এছাড়াও কিশোর গ্যাং আড্ডার জায়গা গুলো এখন পুলিশের নজরদারির মধ্যে রযেছে। চুরি ছিনতাই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছিনতাই এর পরিমাণ কমতে শুরু করেছে আগে এসব এলাকায় প্রতিদিনই চার-পাঁচটা ছিনতাই হয় এমনটাই রেকর্ড ছিল।বর্তমানে তিনি ছিনতাই ও মাদক স্পোট গুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এই বিষয়গুলো নিয়ে ওসি শেখ সাদীর আরো বলেন, মানুষের আয়ু কাল খুব একটা বেশি না এর মধ্যে যার যার জায়গা থেকে সে যদি তার নিজ দায়িত্ব পালন করে তবেই সমাজ সুন্দর হবে এবং সে পৃথিবীতে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবে। আমি যে চেয়ারটায় বসে আছি, এই জায়গা থেকে আমার বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই, কারণ আমরা সাধারণ মানুষের সেবক।এসব বিষয়ে অফিসারদের ভুল ক্ষমা করা হলেও কোন ধরনের অনিয়ম মেনে নিবো না।
এসময়, তাদের ভালো কাজ গুলোর সাথে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে
তিনি বলেন, আমি আমার সিনিয়রদের সাথে কথা বলে তাদের পরামর্শে অত্র এলাকার চুরি, ছিনতাই, মাদক সেবন, কিশোর গেং এ ধরনের অপরাধগুলোকে নির্মূল করতে চাই।
প্রসঙ্গত সাদামাটা মনের মানুষ ওসি শেখ সাদী সাধারণ ও সহজ সরল জীবন যাপন করতেই পছন্দ করেন। দুই কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে স্বাভাবিক ও সাধারণ জীবন যাপনই তার পছন্দ।