মাসুদ পারভেজ (উত্তরা): কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীনের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার সকাল ১১ টায় দক্ষিনখান থানাস্থ আজমপুর সুপার মার্কেট সূর্য্য মহলে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম- মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। স্মরণ সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি-র যুগ্ম-সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম কফিল উদ্দিন। এসময় তিনি প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজবিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তানভীন হত্যার বিচার আপনাকে করতে হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প বিষয় সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম।
তিনি বিটিএমএ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কো চেয়ারম্যান।
আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম- আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শেগুন ও উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সরকার।
এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন আজমপুর সূর্য মহল এসোসিয়েসনের সভাপতি আলহাজ্ব সাদিকুর রহমান,দপ্তর সম্পাদক আজাদুর রহমান সরকার, অর্থ সম্পাদক রেজাউর রহমান, ছাত্র দল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সদস্য মাহফুজুল হক ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাহাবুল আলম , সিকিউরিটি বিষয়ক সম্পাদক, সূর্যমোহল ফ্ল্যাট অনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং মুসলেউল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের অন্যান্য নেতা কর্মীরা।
স্মরণ সভায় উপস্থিত তানভীনের পিতা সামছুর জামানের হাতে মহানগর উত্তর বিএনপির নেতারা অনুদান তুলে দেন। এসময় তিনি তার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী আবেগ আপ্লূত হয়ে বলেন,শুধু পরিবার নয়, শহীদ তানভীন দেশকে সেবা দিতে চেয়েছিল। তার সব আশা আকাঙ্ক্ষা কেড়ে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকার। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে
বলেন,ছাত্র- জনতার উপর শেখ হাসিনার পালিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সে দিন নির্বাচরে গুলি চালায়। প্রায় ১৫০০- ২০০০ ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালিয়ে যারা তাদের রক্ত পান করেছে, তাদের বিচার ছাড়া কি ভাবে আপনারা ৬ দফা সংস্কারের কথা বলেন? সে দিন যারা লাশের মিছিল সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে বহাল রেখে কি ভাবে আপনারা সংস্কারের আশা করেন। মুগ্ধ,আবু সাঈদ, তানভীন, জোবায়ের সহ সকল খুনিদের বিচার না করে কি ভাবে আপনারা সংস্কারের কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যে পুলিশ সদস্যরা নিরিহ নিরস্ত্র ছাত্র- জনতার উপর গুলি চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করেছে, সেসব পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় না এনে কি ভাবে আপনারা সংস্কারের আশা করেন।
তিনি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,শেখ হাসিনার দোসরা গোপালগঞ্জ থেকে ট্রাক ভর্তি অস্র ও বাস ভরে লোকজন ভাড়া করে নিয়ে এসে জাতীয় মসজিদ দখল করতে চায়।আমরা জানতে চাই তাদেরকে কোন প্রশাসন ইন্দন দিয়েছে?এসব লোকদের খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে না পারলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না। স্মরণ সভা অনুষ্ঠান শেষে চৈতী গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল কালামের ৭ নং সেক্টরের বাসায় ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়া শেষে মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা কর্মীদের জন্য দুপুর খাবারের আয়োজন করা হয়।