আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সিরিয়ার উৎখাত হওয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে মিডিয়া রিপোর্ট জানিয়েছে। সিরিয়ায় আইএস ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা।রাশিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যম ক্রেমলিনের সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, রাশিয়া আসাদকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া এই ঘোষণা করেনি। রাশিয়ার সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, আসাদ ও তার পরিবার এখন রাশিয়ায় থাকবেন।
আসাদ যতদিন সিরিয়ায় ক্ষমতা দখল করেছিলেন, ততদিন রাশিয়া ছিল তার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু দেশ। সিরিয়া ছাড়ার পর আসাদ সপরিবারে এখন রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস ও রিয়া নভস্তির বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মস্কোয় পৌঁছেছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে রাশিয়া তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে।
এর আগে, সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে রোববার বাশার সরকারের পতন ঘটে। এর মধ্যে দিয়ে দেশটিতে তার দুই যুগের শাসনের অবসান ঘটে। তারও আগে, বাশারের বাবা হাফিজ আল আসাদ প্রায় ২৯ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় বসেন বাশার। শুরুতে সংস্কারের পথে হাঁটলেও পরে বাবার মতোই কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠেন তিনিও। তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘণ ও বিরোধীদের দমনে ব্যাপক নিপীড়ন চালনোর অভিযোগ রয়েছে। এর জের ধরে ২০১১ সালে ‘আরব বসন্তের’ সময় বাশারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। তবে ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া ও ইরানের সর্বাত্মক সমর্থন নিয়ে টিকে ছিলেন বাশার।
এদিকে ২৭ নভেম্বর থেকে বিদ্রোহীরা আলেপ্পো, ইদলিব এবং হামাসহ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখল করতে থাকে। অবশেষে বিদ্রোহীরা দামেস্কে ঢুকে পড়লে বাশার আল-আসাদের বাহিনী রাজধানী থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এভাবে ৬১ বছরের বাথ পার্টির শাসন এবং ৫৩ বছরের আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান ঘটে।