সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মুশফিকুর রহমান ফাহিমসহ তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি ও পরিবহন মালিকদের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শরীয়তপুর আন্তঃজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইতিমধ্যে যাত্রাবাড়ী থানায় ফাহিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অথচ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো তার বিভিন্ন সহযোগী আমাদের বাস মালিক সমিতির সদস্যদের নানা হুমকি-ধমকিও দিচ্ছে। এমনকি এখনও সহযোগীদের মাধ্যমে নীরবে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের বাস শ্রমিকরাও আতঙ্কে রয়েছেন। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আজ আমরা এই মানববন্ধন করছি। আশা করি পুলিশ প্রশাসন দ্রুত তাকে গ্রেফতার করবে। অন্যথায় আমরা বাস মালিক সমিতি আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
মুশফিকুর রহমান ফাহিম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আওতাধীন যাত্রাবাড়ি থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সাবেক সহ-সভাপতি। সম্প্রতি তাকে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করে জাতীয়তাবাদী যুবদল। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
জানা যায়, শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের কোনো বাস যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে গেলেই ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে মুশফিকুর রহমান ফাহিমের বিরুদ্ধে। এনিয়ে গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। গত ১২ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বাস কোম্পানির মালিক গ্রুপ ও শ্রমিক নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, নিজেকে যাত্রাবাড়ী থানার যুবদল নেতা দাবি করে ফাহিম নামের এক ব্যক্তি পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবিতে গাড়ি ভাঙচুর ও শ্রমিকদের মারপিট করেছে।
যাত্রাবাড়ীতে যুবদলের কথিত নেতা ফাহিম শরীয়তপুরের সকল বাস থেকে চাঁদা চেয়েছে। এককালীন ৫ কোটি, নয়তো প্রতিমাসে ১০ লাখ।
বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর পরই ফাহিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় যুবদল। তাকে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানায়।