নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঞ্জেরী পাবলিকশন্সের বই শিক্ষার্থীদের রেফারেন্স করতে নিরুৎসাহিত করার আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে প্রকাশনীর বই রেফারেন্স করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের আর কোনো বাধা রইল না। একই সঙ্গে, পাঞ্জেরী প্রকাশনীর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কোন উদ্দেশ্যে অভিযোগ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে কেন তা প্রত্যাহার করলেন-এ বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
গত ১৯ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নির্দেশে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা’ ও ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে’ এমন অভিযোগে পাঞ্জেরীর বই না কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্টদের শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। পরে অভিযোগকারী সংস্থা হিউম্যানিস্ট সোসাইটি তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়।
অভিযোগ প্রত্যাহারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে লিখিত আবেদন জানান সংস্থাটির সভাপতি সেলিম রেজা। এতে তিনি বলেন, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে কোনো বিকৃতি ঘটায়নি। তাই আমি আমার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলাম।
অভিযোগকারী তার অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারের (৩ অক্টোবর) আগের আদেশটি স্থগিত করে মাউশি।
বৃহস্পতিবারের স্থগিতাদেশে বলা হয়, হিউম্যানিস্ট সোসাইটির সভাপতি অভিযোগ প্রত্যাহার করায় পাঞ্জেরী প্রকাশনীর বই কেনা থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকার নির্দেশনার জন্য গত ১৯ জুলাইয়ের ইস্যু করা আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলো। এ ছাড়া অভিযোগকারীর অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়ে তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।