অনলাইন ডেস্ক: পবিত্র নগরী হিসেবে পরিচিত জেরুজালেমে অবস্থিত অন্যতম ধর্মীয় স্থাপনা আল আকসা মসজিদে প্রার্থনার অনুমতি পেতে যাচ্ছে ইহুদিরা। ইসরায়েলের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী গিলাদ এরদান বলেছেন, খুব শিগগিরই আল আকসায় ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দেয়া হবে।
ইসরায়েলের কট্টর ইহুদিবাদী সংবাদমাধ্যম অনুরোধের পর গত শুক্রবার ইসরায়েলের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী এমন কথা জানিয়েছেন। ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল আকসা মুসলিমদের কাছে আল হারাম আল শরিফ এবং বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত। এছাড়া স্থাপনাটি ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট বলে পরিচিতি। তারা ধর্মীয়ভাবে আল আকসাকে ইহুদিদের পবিত্র স্থান বলে মনে করে।
তাই আল আকসা মসজিদ একইসঙ্গে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। তবে ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল যখন জেরুজালেম দখল করে নেয় তখন শুধু মুসলিম ধর্মাবলম্বীরাই আল আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতো এবং দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা।
ইসরায়েলের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী এরদান বলেন, ‘খুব শিগিগিরই যে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত। আর এটা হবে স্রষ্টার ইচ্ছায়। জেরুজালেমের এমন পরিস্থিতি স্থানটির নিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌম ক্ষমতা অর্জনের দিকে যাচ্ছে।’
তিনি ইহুদিদের প্রার্থনার জন্য আল আকসা মসিজিদে প্রবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর বিষয়ে নিশ্চিত। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর টেম্পল মাউন্টে প্রার্থনা করতে পারবে সবাই। শিগগিরই এটা ঘটবে।’
কবে থেকে এই অনুমতি প্রদান করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এরদান বলেন, ‘আমি এখনই এটা বলতে পারছি না। এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ইসরায়েলের কোনো আইনি বাধা নেই। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সমর্থন থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।