রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

প্রাথমিক-ইবতেদায়ী সমাপনী শুরু ১৭ নভেম্বর

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯
  • ২৭৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী রোববার (১৭ নভেম্বর)। গত বছরের তুলনায় এবার দুটি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী এক লাখ ৯২ হাজার ৬৩২ জন কমেছে। এবার মোট পরীক্ষার্থী ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ২৭০ জন।

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন দুটি পরীক্ষার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর প্রাথমিক সমাপনীতে ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন ও ইবতেদায়ী সমাপনীতে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সাথে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। ১১তম বারের মতো প্রাথমিক সমপনী ও দশমবারের মতো ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা হচ্ছে।

জাকির হোসেন বলেন, ‘আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত।’

পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। মোট ৬টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ছাত্র ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন কমেছে। ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২ জন ছাত্র এবং এক লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন ছাত্রী অংশ নিচ্ছে। এ পরীক্ষায় গতবারের তুলনায় ৩০ হাজার ৯৮৩ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে।’
এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৪ জন বেশি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি আশাব্যাঞ্জক যে, মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্রমশ এগিয়ে আসছে। আরো আশার কথা এই যে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩ হাজার ৩৪৭ জন এবং ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৩৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।’

সারাদেশে সর্বমোট ৭ হাজার ৪৭০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে রয়েছে ৭ হাজার ৪৫৮টি এবং দেশের বাইরে ৮টি দেশে ১২টি কেন্দ্র (সৌদি আরবে ৪, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২, বাহরাইনে ১, ওমানে ১, কুয়েতে ১, লিবিয়ায় ১, গ্রিসে ১, কাতারে ১টি কেন্দ্র) থাকবে। বিদেশে অবস্থিত কেন্দ্রগুলোতে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬১৫, এরমধ্যে ছাত্র ২৮৯ জন ও ছাত্রী ৩২৬ জন।’

‘সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার সাথে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং তা সংশ্লিষ্ট থানা/ট্রেজারিতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্র উপজেলা থেকে কেন্দ্র সচিবের নিকট পৌঁছে দেয়া হবে। দুর্গম এলাকার ১৮৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে।’

পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম অবহেলা বা অনিয়মের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

যে কারণে কমেছে পরীক্ষার্থী
প্রাথমিক সমাপনীতে শিক্ষার্থী কমেছে কেন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনার তথ্য অনুযায়ী আমাদের জন্মের হার কিছুটা কমেছে। সেই কারণে আস্তে আস্তে আমাদের ছাত্র-ছাত্রী কমে যাচ্ছে।’

এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘২০১৫ সালে প্রাথমিকে সর্বাধিক পরীক্ষার্থী ছিল ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৭৬ জন। এরপর থেকে কমা শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালে ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭ জন, ২০১৭ সালে ২৮ লাখ ৬ হাজার ৯৬ জন, ২০১৮ সালে ২৭ লাখ ৭৭ হাজার। প্রত্যেক বছরই কিন্ত কমছে। এর মানে এই নয় যে, আমাদের ড্রপ আউট বাড়ছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ড্রপ আউটের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ড্রপ আউট হয়নি, প্রকৃত যে তথ্য আমরা ড্রপ আউট কমিয়ে এনেছি।’

তাহলে মাদরাসার এবতেদায়ী শিক্ষার্থী কেন বেড়েছে- এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী ও সচিব।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
প্রতি বছরের মতো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলার পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর ০২-৯৫৭৭২৫৭, ইমেইল- mopmesch2@gmail.com। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের টেলিফোন নম্বর ০২-৫৫০৭৪৯১৭, ০১৭১১৩৪৪৫৩২, ০১৭১২১০৬৩৬৯ ইমেইল- ddestabdpe@gmail.com। সমাপনী পরীক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা যাবে।’

পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি
প্রাথমিক সমাপনীতে ১৭ নভেম্বর ইংরেজি, ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২০ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২১ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা হবে।

ইবতেদায়ী সমাপনীতে ১৭ নভেম্বর ইংরেজি, ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান, ২০ নভেম্বর আরবি, ২১ নভেম্বর কুরআন মজিদ ও তাজবিদ এবং ২৪ নভেম্বর গণিত বিষয়ে পরীক্ষা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

আজ থেকে স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু, নেই মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটা সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এই প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—এবার ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বয়স জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন—২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম-নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দক্রম দেওয়া যাবে অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি কোনো স্কুলেই একটি শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়া ঢাকা মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়া থেকে শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার এ কোটা সুবিধা পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্বাচন করতে হবে। ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এরপর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে। মেধা-অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত ভর্তি ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তাছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনর্ভর্তি ফি নেওয়া যাবে না। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশই কোটা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশই ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। তাছাড়া বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে এবার কোটা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে। জানা যায়, প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী লটারিতে অংশ নিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য চেষ্টা করেন সব অভিভাবক। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। এবার তারা লটারি পদ্ধতি বাদ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সময় স্বল্পতার কারণে অভিভাবকদের দাবি এবার বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব না হলেও আগামীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com