নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে চুলার গ্যাস লাইনে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে শরীফ ও ফরিদা দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ফরিদার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কায়েমপুর এলাকায় মুফতি নজরুল ইসলামের তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়ির নিচ তলায় কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকে। ওপরের দুই তলা, তিন তলা ও ছাদে টিনের ঘর তৈরি করে সেখানে জামিয়া দারুস সালাম নামে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন বাড়ির মালিক মুফতি নজরুল ইসলাম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভোরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে খোঁজ খবর নিতে চাইলেও বাড়ির ম্যানেজার আ. ওহাব মিয়া কাউকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি। এসময় দগ্ধ ফরিদার চিৎকার শোনা গেলে ম্যানেজারের ওপর লোকজন ক্ষেপে উঠলে তিনি বাড়ির গেট খুলে দেন। তখন আশপাশের লোকজন গিয়ে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
স্থানীয় লোকজন আরও জানান, যে ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে সে ঘরটিতেই গ্যাসের চুলা। ঘরে গ্যাস লিকেজ হতো অনেক আগে থেকেই। বিষয়টি বাড়ির ম্যানেজার জানলেও কোনও সমাধান করেনি। যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলার পাইপে লিকেজ থাকতে পারে। সেই লিকেজ থেকে সারা রাত গ্যাস বের হয়ে জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে রান্না করার জন্য চুলায় আগুন দিলে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে।’
তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনায় বাড়ির মালিকের কোনও গাফিলতি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি মালিকপক্ষের কোনও গাফিলতি পাওয়া যায় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।