অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার কথা স্বীকারের পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। শনিবার রাজধানী তেহরান ও বেশ কয়েকটি শহরে এ বিক্ষোভ হয়েছে।
বুধবার তেহরানের ইমাম খামেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ছয় মিনিট পর ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন। প্রথমে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করে ইরান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে,ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রথমে অস্বীকার করলেও তিন দিন পর ইরানি কর্মকর্তারা স্বীকার করেন ভুল করে বিমানটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। বিমানটির অধিকাংশ যাত্রীই ছিল ইরানের নাগরিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়েছিল। এর আগে বিক্ষোভকারীরা ‘স্বৈরশাসক নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়।
বিকেলে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে। রাজধানী ছাড়াও কয়েকটি শহরে ছোটোখাটো বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
তেহরানের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে রোববার সকালে রাজধানীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের ভিডিওগুলোর একটিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ‘খামেনির লজ্জা আছে, দেশ ছেড়ে চলে যাক’ স্লোগান দেয়। আরেক দল বিক্ষোভকারী ‘স্বৈরশাসক নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়।