আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওদিঙ্গা। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৮০ বছর। আফ্রিকার রাজনীতিতে তাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভারতের কেরালা রাজ্যের দেভামাতা হাসপাতাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তিনি ভারতের কেরালার কোচি শহরের দেবমাথা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। বুধবার সকালে হাঁটার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেরালার এরনাকুলাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণন এম বলেন, সকালে হাঁটার সময় তিনি হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে ছিলেন তার বোন, মেয়ে, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ভারতীয় এবং কেনিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। কাছাকাছি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
ওডিঙ্গার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তাও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাইলা ওডিঙ্গা ২০০৮-২০১৩ মেয়াদে কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে কখনও বিজয়ী হতে পারেননি।
১৯৪৫ সালের ৭ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া রাইলা ছিলেন স্বাধীন কেনিয়ার প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতির পুত্র।
তিনি লুয়ো উপজাতির প্রতিনিধি হিসেবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সামরিক শাসনের বিরোধিতা এবং নাগরিক অধিকারের পক্ষে দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়ে গেছেন। এজন্য তাকে বিদেশে নির্বাসন, এমনকি আট বছর জেলজীবন কাটাতে হয়েছে।
তার মৃত্যুতে কেনিয়ার রাজনীতিতে, বিশেষ করে বিরোধীদলের নেতৃত্বে, একটি বড় শূন্যতা তৈরি হলো।
২০২৭ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এই মৃত্যু দেশটির রাজনৈতিক সমীকরণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।