মানবিক সাহায্যের সরকারি ঘোষণার দুইদিনেই ট্রিপল থ্রি’তে ফোন কল এসেছে ৯৭ হাজার।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই শেষে ২ হাজার ৭শ’ ৭৫ জনের তথ্য চলে গেছে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের কাছে। আর এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে যাচ্ছে নির্দিষ্ট স্থানে। তবে, এই কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করছে অসংখ্য ভুয়া কল।
মঙ্গলবার, রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের কর্মীদের ফোনালাপ দেশের সাধারণ মানুষের মানবিক সাহায্যর জন্য- ট্রিপল থ্রিতে সরকারি খাদ্য সহয়তার ফোন কল কার্যক্রম।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পরিকল্পনা এবং এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর সহায়তায় চলছে জাতীয় শর্টকোড নম্বর ট্রিপল থ্রি। এটুআই বলছে সরকার ঘোষণা দেয়ার পর ২৫শে এপ্রিল থেকেই ফোন কল পাচ্ছে তারা।
এটুআই এর চিফ টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ আরফে এলাহী জানান, করোনার দ্বিতীয় ধাপে মানবিক সাহায্যের ঘোষণা দেয়ার পর গেল দু’দিনে ৯৭ হাজার কল এসেছে। এর মধ্যে আড়াই হাজার কল যাচাই করে তাদের নাম-ঠিকানা স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এটুআই প্রোগ্রাম এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা তাদের অসহায়ত্বের কথা কারও কাছে প্রকাশ করতে পারেন না তাদের কথা মাথায় রেখে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কল পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে তাদের ঠিকানা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়।’
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারা দেশে চলাচল সীমিত করে দিলে বিরাট একটা অংশের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। খাদ্য সংকটে থাকলেও নিম্ন মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় লজ্জায় বা অন্য যে কোন কারণে হোক খাদ্য সহায়তার বিষয়ে বলতে পারেন না, তাদের জন্যেই তাই ট্রিপল থ্রি। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে মানবিক সাহায্য খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়ার কার্যক্রম।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন জানান, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মানবিক সহায়তার মাধ্যমে একটি পরিবারকে ১৫ দিনের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয় বলেও জানান সচিব।
জানা গেছে ট্রিপল থি’তে আসা বেশির ভাগই ভুয়া কল। সাধারণ মানুষের সহায়তায় জাতীয় শর্ট কোড ট্রিপল থ্রি’তে ভুয়া কল না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি এমন কল করে কাজে ব্যাঘাত ঘটালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।