লাইফস্টাইল ডেস্ক : জন্মদিন বা ঘরোয়া পার্টিতে শিশুদের আনন্দ দিতে নানা রঙের বেলুন থাকবে না, তা চিন্তাই করা যায় না। তবে অনেকে বেলুন শুধু ফুলিয়েই নয়, বরং বেলুন ফাটিয়েও শিশুদের আনন্দ দিয়ে থাকেন। এছাড়া মুখ দিয়ে বেলুন অতিরিক্ত ফুলানোর সময় তা ফেটে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
তবে গবেষকরা ফেলুন ফাটানোকে বিপজ্জনক হিসেবে অভিহিত করেছেন। কেননা বেলুন ফাটার শব্দে শিশুর শ্রবণশক্তি আজীবনের জন্য নষ্ট হতে পারে। কানাডার অডিওলজিস্ট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
২০১৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার গবেষকরা একটি বেলুন ফাটালে যে শব্দদূষণ হয় তার মাত্রা নির্ণয় করেন। তারা তিন পদ্ধতিতে বেলুনগুলো ফাটান- পিনের সাহায্যে, হাত দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে এবং মুখ দিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত বেলুন ফুলিয়ে, যতক্ষণ না পর্যন্ত বেলুনটি বিস্ফোরিত হয়।
গবেষকরা দেখেছেন, মুখ দিয়ে বেলুন ফোলানোর সময় তা বিস্ফোরিত হলে সর্বোচ্চ শব্দ হয়। এ সময় ১৬৮ ডেসিবল পর্যন্ত শব্দ তৈরি হতে পারে। যা একটি শর্টগান এর শব্দের চেয়ে বেশি এবং ৩৫৭ ম্যাগনাম রিভলবার এর সমতুল্য। এই মাত্রার শব্দ একজন প্রাপ্ত বয়স্কের জন্যও অনিরাপদ। অন্য দুই পদ্ধতিতে বেলুন ফাটলে কিছুটা কম শব্দ উৎপন্ন করে কিন্তু তারপরও তা বিবেচ্য বিষয়।
গবেষকদের মতে, বেলুন ফাটানোর বিকট আওয়াজ কানের ভেতরের লোমগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে, যা পরবর্তীতে আর গজায় না, তাই এটি স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি নষ্ট করে বধির করে দিতে পারে।
গবেষণাপত্রটির সহ-লেখক বিল হডগেটস বলেন, ‘যেসব কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়, সেসব বিষয়ে আমরা সতর্ক করতে চাইছি। কারণ শ্রবণশক্তি যদি একবার নষ্ট হয় তাহলে কোনো হিয়ারিং এইড দিয়েই তা স্বাভাবিকের মতো করা সম্ভব নয়। আমরা বাচ্চাদের বেলুন নিয়ে খেলতে বা আনন্দ করতে নিষেধ করছি না। তবে বেলুন ফাটাতে নিষেধ করছি। যেকোনো পিলে চমকানো আচমকা আওয়াজ শ্রবণশক্তির ওপর দীর্ঘকালীন প্রভাব ফেলতে পারে।’