বিশেষ প্রতিবেদক : বিদায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ১০ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের চেয়ে গত অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ শতাংশ। এজন্য প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
সোমবার সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত রেমিটেন্সে ২ শতাংশ নগদ প্রনোদণায় প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারার জন্য রেমিটেন্স পাঠানো সব ভাই-বোনদের প্রতি আমার কৃজ্ঞতা, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’
এদিকে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় মিলিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। এর আগে গত মে মাসের শুরুতে রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘শুরুতে অনেকে সমালোচনা করে বলেছিলেন এটি টেকসই হবে না। কিন্তু সব সমালোচনাকে পেছনে ফেলে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের তুলনায় ৩৬.১০ শতাংশ বেড়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে দাঁড়িয়েছে ২৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যে কারণে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ অতিক্রম করে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের প্রবাসী আয় পাঠানোর নিয়মকানুন সহজ করে দেওয়া, সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। আমাদের এ অর্জন দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রত্যাশা এটি আরও বাড়বে। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। কাউকে হয়রানি করা হয় না। সময়মত এর উপকারভোগীর হাতে পৌঁছে যায়। এ কারণে এটি দিন দিন বেড়েই চলেছে। নতুন শুরু হওয়া অর্থবছরেও এ সুযোগগুলো রাখা হয়েছে। এটা বাড়তেই থাকবে, ইনশাআল্লাহ।’