দুর্নীতি দমন কমিশনে পাবনা পৌর সভায় সাবেক মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুর বিরুদ্ধে স্হবির হয়ে থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান সচল ও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্হা গ্রহনের দাবিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন এক ভুক্তভোগী।
দুদকের কমিশনার অনুসন্ধানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রেরিত ওই আবেদন পত্রে বলা হয়, কামরুল হাসান মিন্টু ২০০৩ সালে বিএনপি’ কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী হিসাবে চারদলীয় জোট সরকারের আর্শ্বীবাদ নিয়ে প্রথম শ্রেনীর (পাবনা) পৌর সভায় মেয়র নির্বাচিত হয়। ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় বিশ বছর পাবনা পৌরসভায় মেয়র পদ অপব্যবহার করে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করে। গুরুতর দূনীর্তির অভিযোগে দূর্নীতি দমন কমিশন ২০১৩ ও ২০১৮ সালে কামরুল হাসান মিন্টুর বিরুদ্ধে দূর্নীতির তদন্ত শুরু করে।
২০১৮ সালে মিন্টুর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগটি তদন্ত শুরু করে এবং মিন্টুকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নোটিশ করে। তখন মিন্টু তার ঘনিষ্ট ও বিশ্বস্ত পাটনার হাসান জাফির পিতাঃ মৃত জালাল উদ্দিন স্হায়ী ঠিকানাঃ সাং দক্ষিন রাঘবপুর, পোষ্ট+ থানা ও জেলা পাবনা, (ফোনঃ ০১৭১১১৯১৯১৯) নিকট দুর্নীতির মাধ্যমে উর্পাজিত টাকার মধ্য থেকে নগদ ষাট কোটি টাকা জমা রাখে। এ ছাড়া আরো বহু টাকা কামরুল হাসান মিন্টু তার ব্যবসায়ী পাটনার হাসান জাফিরের কার্টুন ফ্যাক্টরীঃ ইউনিফাই প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড , ঠিকানাঃ কামারপাড়া, তেঁতুলতলা, থানা তুরাগ, ঢাকা, উক্ত কোম্পানীর ৫০ শতাংশের মালিক ও অংশীদার। কামরুল হাসান মিন্টু দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত জবাবে ইউনিফাই কার্টুন ফ্যাক্টরীর অংশীদারের সম্পূর্ণ তথ্য গোপন করে জবাব দাখিল করেছে।
উল্লেখ্য কামরুল হাসান মিন্টুর জমাকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১) তথ্য গোপন করা ২) দূর্নীতির মাধ্যমে উর্পাজিত অবৈধ ৬০ কোটি টাকার উল্লেখ না করা। ৩) কামরুল হাসান মিন্টুর আরো বিপুল
পরিমান টাকা জমাকৃত সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করেছে।
কামরুল হাসান মিন্টুর সকল কালো টাকা উদ্ধার করার জন্য মিন্টুর ব্যবসায়ী পাটনার হাসান জাফিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অভিযোগের গুরুত্ব ও সত্যতা বিবেচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনে দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিযোগ কারী।