ইউক্রেনে অভিযানের পর রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা দেশগুলো নিজেদের নাগরিকদের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার ভ্লাদিভসটকে অর্থনৈতিক ফোরামে রাখা বক্তব্যে পুতিন এ দাবি করেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক আগ্রাসন কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া। এ সময় পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার জন্য তাদের জনগণের জীবনযাত্রা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেন পুতিন।
তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বের গরিব দেশগুলো খাদ্য সংকটে ভুগতে শুরু করেছে। তার মতে, ইউক্রেনের শস্য নিয়ে গরিব দেশগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করেছে ইউরোপ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে পঞ্চম শতাংশ জায়গা দখল করেছে রুশ সেনারা। অভিযানের চার মাস ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দর দখল করেছিল রাশিয়ার সেনারা। পরে আগস্ট থেকে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্ততায় শস্য জাহাজ ইউক্রেন থেকে যাওয়ার অনুমতি দেন পুতিন। কিন্তু এর মধ্যে দুটি জাহাজ মাত্র আফ্রিকাকে গেছে। কিন্তু এটা হওয়ার কথা ছিল না বলে জানান পুতিন।
এখন পশ্চিমাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অস্ত্র অনুযায়ী রাশিয়ার সৈন্যদের পাল্টা আক্রমণ করছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিভিন্ন শীর্ষ নেতৃত্ব স্থানীয়, ব্যবসা ও রাষ্ট্র পরিচালিত ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এছাড়া রাশিয়ার ওপর থেকে গ্যাস ও তেলের নির্ভরতা কমাতে পরিকল্পনা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। এরই মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া।
এ পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে জ্বালানির দাম হু হু করে বাড়ছে। গত শুক্রবার সংকটের বিষয়টি সভায় উত্থাপন করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা। এদিকে, রাশিয়ার তেলের দাম নির্ধারণ করার প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। এটিকে স্টুপিড হিসেবে বিবেচনা করছে মস্কো।