নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মরিয়ম নামে এক গৃহবধূকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামী মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর তার তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচণা মামলা দায়ের করে।
নিহতের বাবা কাঞ্চন মিয়া জানান, ৭ মাস আগে কল্যান্দি শুক্কুর আলীর ছেলে মামুনের সঙ্গে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মামুন মেয়েকে অকারণে মারধর করতেন। স্ত্রী পারভিন বেগম বিদেশে থাকায় মামুন প্রায় সময়ই আমার মেয়ে মরিয়মকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন। মরিয়ম টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অমানসিক নির্যাতন করতেন।
গত ২১ নভেম্বর রাতে মামুন পুনরায় মরিয়মকে টাকা এনে দেয়ার জন্য অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে। মেয়ের গায়ে স্টোভ চুলার কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে রাজবাড়ী মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি মরিয়ম আগুনে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরের দিন ভোরে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে গেলে মরিয়মের নিথর মরদেহ দেখতে পাই। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আত্নহত্যার প্ররোচণায় মামলা দায়ের করেন। মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাহিদ মাসুম বলেন, গৃহবধূ মরিয়মের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। স্বামী মামুনকে এ ঘটনায় গ্রেফতার করে আত্মহত্যার প্ররোচণায় মামলা নিয়ে কোর্টে পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।