মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় মা ও কনের ভাইয়ের ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বউ ঘরে আনলেন ছেলে। শুক্রবার দুপুরে এমনই এক বিয়ের সাক্ষী সদর উপজেলার দক্ষিণ কাজী কসবা এলাকার মানুষ।
জানা যায়, উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ফুলন কাজীর মেয়ে মরিয়ম আক্তার সুস্মিতার সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কাইচাইল এলাকার প্রবাসী ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেনের। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ি দূরত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার। তবে বরের মায়ের ইচ্ছে আর কনের ভাইয়ের আবদার বর-বধূ চড়বে হেলিকপ্টারে। তা পূরণেই লাখ টাকা খরচ করে এ দিন দুপুরে বরকে আকাশে উড়ে আসতে হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল ৩টার দিকে দক্ষিণ কাজী কসবা এলাকার কাজী বাড়ির সামনে উড়ে এসে নামছে হেলিকপ্টার। উড়োযানটিতে চড়ে বিয়ের সাজে কনেবাড়িতে হাজির বর। বরকে বরণে হাজির গোটা গ্রামের হাজারো মানুষ। যেন এক এলাহি কাণ্ড। হেলিকপ্টার থেকে নেমে গ্রামীণ ঐতিহ্যের পালকিতে চড়ে বর পৌঁছায় অনুষ্ঠানস্থলে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বধূকে নিয়ে আবার ফিরেন বাড়িতে। ভিন্ন রকম আয়োজন দেখতে তাই ছুটে আসেন অনেকে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, আগে হেলিকপ্টার আকাশে উড়তে দেখতেন। কিন্তু সামনাসামনি কখনো দেখা হয়নি। ফুলন কাজীর মেয়ে বিয়েতে হেলিকপ্টারে জামাই আসবে এটা দেখতেই এসেছেন তারা। আয়োজন খুব সুন্দর হয়েছে।
কনের ভাই কাজী আবির বলেন, আমার আদরের বোন, চেয়েছিলাম ওর বিয়েটি জাঁকজমক করতে। এখন যেহেতু ডিজিটালযুগ এজন্যই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের পালকিও আছে। পালকি আর হেলিকপ্টারে চড়ে আমার বোন শ্বশুরবাড়ি যাবে।
তিনি আরও বলেন, বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের পর বরের বাড়ি থেকেও বোনকে আবার আমাদের বাড়িতে হেলিকপ্টারে করে আনবো। এতে দুদিনে উড়োযানটির মোট খরচ হবে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো।
রামপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও কনের বাবা ফুলন কাজী বলেন, এলাকার সবাইকে আমার মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত দিয়েছিলাম। সবাই এসেছে আনন্দ করেছে। আজ মেয়ে স্বামীর বাড়িতে যাচ্ছে। আমার ছেলে চেয়েছিল ওর বোনকে যেন হেলিকপ্টারে নেয়া হয়। বর তাই নিয়ে এসেছে। সবাই আনন্দিত।
বর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার মা এবং শ্যালক চেয়েছিলেন তাই হেলিকপ্টারে এসেছি। নবজীবনে আমরা সবার কাছে দোয়া চাই।