১২ বছর বয়সী মেয়েকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন তার বাবা- এমন একটি অভিযোগ নিয়ে থানায় যান মা। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষক বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর পৌর এলাকার চন্দ্রা গ্রামে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বাবা কবির শেখ কফিলকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর মা মনি বেগম জানান, স্বামী কবির শেখ কফিলের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাছাড়া কফিলের প্রথম স্ত্রীর আরো দুইটি মেয়ে রয়েছে, তারা বিবাহিত। তাদের ১২ বছর বয়সী মেয়ে পার্শবর্তী শেরপুর সদর উপজেলার জংগলদী গ্রামের নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে বেড়াতে এলেই চলতে থাকে ধর্ষণ। কখনো কখনো নানা বাড়িতে গিয়েও ধর্ষণ করতেন বাবা। গত ৬ মাস আগে বিষয়টি টের পান মা মনি বেগম। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলায় স্ত্রীকে মারধর করে ও হত্যার হুমকি দেন স্বামী কফিল। কিন্তু বাধার মুখেও ক্রমাগত ধর্ষণ চলতে থাকায় গত সোমবার রাতে নির্যাতনের শিকার ওই মেয়েসহ এক বছর বয়সী আরেক মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান মা মনি বেগম। পরে মঙ্গলবার সকালে জামালপুর সদর থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন তিনি।
জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, মঙ্গলবার সকালে কবির শেখের বিরুদ্ধে তার ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। শিশুটির বাবাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে তার স্বামীকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আসামি কবির শেখ কফিলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।