সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দল। এদিন আগে ব্যাট করে ফারজানা হকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান করে টাইগ্রেসরা। কিন্তু এ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৪৫.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়া নারী দল। ফলে সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশের দেওয়া ২২৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক লরা ভলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে এ দুজন করেন ১০৬ রান। রিতু মনির বলে মারুফা আক্তারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তাজমিন ব্রিটস করেন ৮৪ বলে ৫০ রান। অধিনায়ক লরা ওলভার্ডও পরের ওভারেই ৫৪ রান করে ফাহিমা খাতুনের বলে আউট হন। ফলে ম্যাচে ফিরে টাইগ্রেসরা।
এরপর বাংলাদেশের বোলাররা আর কোনো উইকেট নিতে না পারায় সহজে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দল। অ্যানেকে বচ ৬৫* রান ও সুনে লুস ৪৭* রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুর্শিদা খাতুনের ৯১ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছিলো ২৫০ রান। জবাবে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকান নারীদের ১৩১ রানে অলআউট করে দিয়ে বাংলাদেশের নারীরা ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলো ১১৯ রানে।
এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও দারুণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। শুধু তাই নয়, অসাধারণ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার ফারজানা হক। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২২২ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ১০২ রান করে রানআউট হয়েছেন ফারজানা।
পচেফস্ট্রমের সেনউইজ পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করতে থাকে বাংলাদেশের ওপেনাররা। শামীমা সুলতানা এবং ফারজানা হক মিলে গড়ে তোলেন ৪৮ রানের জুটি। ৩৬ বলে ২৮ রান করে আউট হন শামীমা সুলতানা।
আগের ম্যাচে ৯১ রান করা মুর্শিদা খাতুন করেন ১৩ বলে ৮ রান। অধিনায়ক নিগাল সুলতানা জ্যোতি ৩৩ বলে ১৩ রান করে আউট হন। এরপর ফাহিমা খাতুনকে নিয়ে ৯৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন ফারজানা হক। শেষ ওভারে গিয়ে ফারজানা রানআউট হন ১৬৭ বলে ১০২ রান করে। ১১টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি।
৪৮ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ফাহিমা খাতুন। রিতু মনি ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মারিজানে কেপ ২টি এবং মাসাবাতা ক্লাস ১টি উইকেট নেন।