নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর দক্ষিনখান থানার মোল্লারটেক এলাকায় পূর্ব শত্রুতার যের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতের রগ ও কানকেটে,শরীরের একাধিক জায়গায় চাকু দিয়ে পার এবং চোখ উপরেফেলার চেস্টা করে এলাকার বখাটে শ্রী হৃদয়। বিষয়টি নিয়ে গত ৫ এপ্রিল দক্ষিনখান থানার মোল্লারটেকের বাসীন্দা রায়হানের বাবা মো, রতন বাদী হয়ে দক্ষিনখান থানায় একটি মামলা করেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ১৩ দিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামী হৃদয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, রতনের ছেলে মোঃ রায়হান(১৪), -দক্ষিণখান,কসাইবাড়ী আমির হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে কাজ করে। গত ৪ এপ্রিল রাতে হোটেলে নাইট ডিউটি করে ৫ এপ্রিল ভোর ৫ টার সময় বাসায় ফেরার পথে মেল্লারটেক, ১২ তলা গার্মেন্টস সংলগ্ন, উত্তরা মডেল একাডেমীর সামনের গলি পৌঁছাইলে শ্রী হৃদয় (২৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন রায়হানের উপর হামলা করে তাকে এলোপাথারি মারধর করে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখন করে। মামলায় উল্লেখিত অজ্ঞাতনামা আসামীরা রায়হানকে জড়িয়ে ধরিয়ে রাখলে ১নং বিবাদী শ্রী হৃদয় তার হাতে থাকা ধাড়ালো চাকু দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মোঃ রায়হানের দুই হাতের কব্জির রগ কেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং নাকের উপরি ভাগে চোখ সহ ধাড়ালো চাকু দিয়ে পুচ দিয়ে নাকের উপরি ভাগ সহ চোখ মারাত্মক রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। রায়হানের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন চলে আসলে শ্রী হৃদয় সহ অন্যরা পালিয়ে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় রাহানকে উদ্ধারকরে প্রথমে উত্তরা উমেন মেডিকেল কলেজে নেয়। রুগীর অবস্থা অত্যান্ত খারাপ থাকায় সেখানে ভর্তি নেয়নি। পরে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে সিট না পাওয়ায় বেসরকারী মেডিকেল প্রাউম এ ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়। টাকার অভাবে পুরো চিকিৎসা না করেই হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসে রায়হানকে। এলাকার লোকজনের সহায়তায় বর্তমানে বাসায় ঔষধ কিনে চিকিৎসা চলছে তার। শ্রী হৃদয় দক্ষিনখান থানর মেল্লারটেক এলাকার শ্রী তখন এর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিনখান থানার এস আই মোরশেদ বলেন আসামী বার বার জায়গা পরিবর্তন করছে। আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে সর্বোচ্চ চেস্টা চলছে।