কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে তিস্তা নদীতে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় এক শিশুর মরদেহসহ ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই পরিবারের তিন সদস্যসহ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ছয়জন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল থেকে তিস্তায় নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর আগে, বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়নের খামারদামার হাট এলাকার মাঝের চরের কাছে তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উলিপুরের বজরা পুরান বাজার এলাকায় দাওয়াত খাওয়া শেষে তারা তিস্তা নৌপথে রংপুরের পীরগাছা এলাকার পাওটানা গাবুরারচর গ্রামে ফিরছিলেন। এ সময় বজরা ইউনিয়নের খামারদামার হাট মাঝের চরের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়। বুধবার রাত পর্যন্ত ১৮ জনকে জীবিত এবং আয়শা নামে দেড় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ছয়জন। নৌকায় নারী ও শিশুসহ ২৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
উদ্ধার অভিযান সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজদের মধ্যে নৌকার যাত্রী আনিছুর রহমান, তার স্ত্রী রূপালি এবং তাদের এক সন্তান রয়েছেন। অপর তিনজনও শিশু বলে নৌকায় থাকা যাত্রীদের বরাতে জানা গেছে।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মহুবর রহমান বলেন, নিখোঁজদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছে। বাকিরাও শিশু বলে জানতে পেরেছি।
আনোয়ার নামে এক যাত্রী বলেন, আমরা বজরা থেকে দাওয়াত খেয়ে গাবুরারচরে ফিরছিলাম। নৌকায় শিশুসহ ২৫-২৬ জন ছিলাম। এ সময় নদীতে একটি বড় ঢেউ ওঠে। মাঝি ওই ঢেউয়ের মধ্যে হঠাৎ নৌকা ঘুরানোর চেষ্টা করলে নৌকা ডুবে যায়। অনেকে উদ্ধার হলেও এখনো ৬-৭ জন নিখোঁজ আছে।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান বলেন, নৌকাডুবির ঘটনার পর ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে এক শিশুর মরদেহ রয়েছে। নৌকায় থাকা যাত্রীদের দেওয়া তথ্য মতে একই পরিবারের তিনজনসহ এখনো ছয় যাত্রী নিখোঁজ আছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে।