কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি রোহিঙ্গা যুবক হাসান নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৩ পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও গুলি। সোমবার ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা পাহাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ জানান, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা নীলার জাদিমুরা পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে টেকনাফ থানার একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশ ও পাল্টা ১০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এই সময় টেকনাফ থানার এসআই সাব্বির, কনস্টেবল বাহার উদ্দিন ও কনস্টেবল লিটন আহত হয়।
ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু এলাকার বাসিন্দা ও বর্তমানে টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী হামিদুল্লাহর পুত্র হাসানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। সে সময় তার কাছ থেকে ১টি এলজি,৫ টি গুলি ও ৮ টি খোসা উদ্ধার করে।
গুলিবিদ্ধ হাসানকে পুলিশ প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃতদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত পৌনে ১১ টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা টেকনাফের জাদিমুরা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে।
এ নিয়ে দুই দিনে ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামী থাকা তিন রোহিঙ্গা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলো।