শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

ই-সিগারেটটা পুরোপুরি বন্ধ করা দরকার : তথ্যমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২১৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-সিগারেটের বিষয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ই-সিগারেট কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়ছে। ই-সিগারেটটা পুরোপুরি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। ভারতে এর আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের দেশেও এর আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে আমি এ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গোচরে এনেছি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক বাংলাদেশ ২০১৯’ শীর্ষক গবেষণা ফল প্রকাশ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তামাকের ব্যবহারের হার ৪০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে নেমে আসছে। তবে বাংলাদেশকে নিচে ফেলানোর জন্য অনেক সংস্থা রিপোর্ট প্রকাশ করে। এসবের সঙ্গে আমি একমত নই। ইউরোপের অনেক দেশে এখন বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ধূমপান হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশকে তামাকমুক্ত করতে সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আইন করা হয়েছে, আইনের প্রয়োগও হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই দেখবেন, জনসম্মুখে সিগারেট খাওয়ার কারণে জরিমানা করা হয়েছে। এই খবরগুলো খুব বেশি কাগজে ছাপানো হয় না। সে কারণেই আপনারা বা আমরা জানতে পারি না।’

প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ও নির্দেশনায় তামাকজাত পণ্য ব্যবহার হ্রাসে অনেক অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে আজীবন অধূমপায়ী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমি মনে করি, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশের নির্ধারিত লক্ষ্য, ২০৪০ সাল নাগাদ একটি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ রচনা করা, সেটি সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রজ্ঞার হেড অব টোব্যাকো কন্ট্রোল মো. হাসান শাহরিয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক আইন এফসিটিসির অনুচ্ছেদ ৫.৩ বাস্তবায়নের অগ্রগতি মোটেও সন্তোষজনক নয়। বিশ্বের ৩৩টি দেশের মধ্যে তিনটি দেশে সবেচেয়ে বেশি তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ। এরমধ্যে বাংলাদেশ একটি। এরচেয়ে খারাপ অবস্থায় আরও দুটি দেশ-একটি হচ্ছে জাপান ও অপরটি জর্ডান।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সূচক হচ্ছে ৭৭, যা গত বছর ছিল ৭৮। সূচক স্তর বেশি হলে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের পরিমাণও বেশি। ওই গবেষণা রিপোর্টে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারের ব্যাপারে জোর সুপারিশ করা হয়।

প্রজ্ঞা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন থাইল্যান্ডের জিজিটিসি, থামাসাত ইউনিভার্সিটির হেড অব গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ড. মেরি আসুন্তা; সিটিএফকের গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর, বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে তামাক কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ বিষয়ে তিন সাংবাদিককে অ্যাওযার্ড দেয়া হয়। দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার সুহাদ আফরিন, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার মামুন আব্দুল্লাহ ও বাংলা নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার (রাজশাহী) শরিফ সুমনকে অ্যাওয়ার্ড ও ক্রেস্টা প্রদান করা হয়। তথ্যমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com