নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির নতুন কমিটিতে ৪১ প্রেসিডিয়ামের মধ্যে ৩৭ জনের নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। এই প্রথম দলের নতুন পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদের নাম প্রেসিডিয়ামের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন দলের প্রভাবশালী সাত কো চেয়ারম্যানও। দলের বয়োজ্যেষ্ঠ, গ্রহণযোগ্য অনেক সিনিয়র নেতা প্রেসিডিয়ামের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবদ্দশায় যতবার দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে- সবসময়ই তার নামের পরে স্ত্রী রওশন এরশাদের নাম রেখেছেন। দলের প্রত্যেকটি প্রেসিডিয়ামের তালিকায়ও তার নাম এরশাদের পরে স্থান পেয়ে আসছিল। এরশাদের অবর্তমানে এবারই প্রথম দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম থেকে ছেটে ফেলা হলো রওশন এরশাদকে।
নতুন প্রেসিডিয়ামের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন দলের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা জামালপুরের এম এ সাত্তার। যার নাম সবসময় দলের জ্যেষ্ঠনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের পরে ছিল। তিনি দলের মধ্যে বিনয়ী রাজনীতিক হিসেবেও পরিচিত।
বাদ পড়েছেন দলের আরেক সিনিয়র নেতা ও এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে কারা নির্যাতিত অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান। নতুন প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ দেয়া হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতির দায়িত্বপালনকারী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেকএমপি নূর ই হাসনা লিলি চৌধুরীকে।
সিলেট অঞ্চলে দলের সিনিয়র নেতা সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক, যুদ্ধাপরাধের মামলায় কারাগারে আটক সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ হান্নান, প্রেসিডিয়ামের সভায় সত্য কথা মুখের উপর বলার জন্য আলোচিত দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ, এরশাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত- এরশাদের ট্রাস্টি সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার, এরশাদের আরেক ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, রংপুরের পরিচিত মুখ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নাটোরের মজিবুর রহমান সেন্টু ও ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর নয়া প্রেসিডিয়ামের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
নতুনদের মধ্যে অনেকেই যুক্ত হলেও দলের সিনিয়র অনেক নেতাকে ডিঙ্গিয়ে জিএম কাদেরের পছন্দের নেতাদের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।