ঢাকা : ডিজিটাল আইনে এবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এক পরিচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের দায়ের করা এক মামলায় রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগ এনে মিনহাজ মান্নান ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার বিএলআই সিকিউরিটিজের কর্ণধার মিনহাজ মান্নান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একজন পরিচালক। তিনি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির খালাত ভাই। এর আগে মিনহাজের ভাই ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নানকে ২০১৬ সালে জঙ্গিরা হত্যা করেছিল। জুলহাজ মান্নান সমকামী অধিকার বিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনার সাথে জড়িত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার এই মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের মধ্যে জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, সুইডেনে থাকা সাংবাদিক তাসনিম খলিলও রয়েছেন।
মিনহাজকে (৫২) বুধবার ঢাকার বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। রাতে রমনা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে থানায় তুলে দেওয়া হয় আগের দিন বাসা থেকে তুলে নেওয়া দিদারুলকে।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান, রাত পৌনে ৮টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৩।
র্যাব-৩ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দিকের করা এই মামলায় মঙ্গলবার গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট কিশোর ও মুশতাককে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার কিশোর ও মুশতাককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- দিদারুল ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নান, আসিফ মহিউদ্দিন, তাসনিম খলিল, সায়ের জুলকারনাইন, আসিফ ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ, সাহেদ আলম ও ফিলিপ শুমাখার।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেইসবুক ব্যবহার করে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়েছে। ফেইসবুকে ‘I am Bangladeshi’ পেইজে সম্পৃক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিশোর, মুশতাক, দিদারুলকে, যে পেইজ থেকে রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল বলে র্যাবের দাবি।