জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী নারীরা আর্থিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্যগতভাবে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান নেমে গেছে ও সহিংসতার স্বীকার হচ্ছে।
এ সংকটের সময় জাতিসংঘের এজেন্সি, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারদের করোনাভাইরাস সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মজীবী নারী, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী যে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসাবে যে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছে তার ৭০ ভাগ নারী। বিশ্ব যখন মহাসংকটে তখন নারীরা ঘরে বসে নেই।
মঙ্গলবার (০৯ জুন) সচিবালয় থেকে ইউএন উইমেনের ব্যাংকক আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ নাকিরির সঞ্চালনায় ‘টুওয়ার্ডস জেন্ডার রেসপনসিভ কোভিড-১৯ রিকোভারি: এক্সপেরিয়েন্স ফ্রম এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ বিষয়ে ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন। ইউএন উইমেনের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সঙ্গে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের নয়টি দেশের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রীদের অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক আনিতা ভাটিয়া।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা তার বক্তব্যে করোনা সংকটে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আর্থিক সহায়তা, ঘরে বসে কাজ করা ও সরকারি-বেসরকারি সব নাগরিক সুবিধা পাওয়ার বিষয় সুপারিশ হিসাবে তুলে ধরেন। সুপারিশে তিনি উল্লেখ করেন, গবেষণা ও উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে একসঙ্গে কাজ করে কোভিড-১৯ সংক্রামক ব্যাধিকে পৃথিবী থেকে দূর করতে হবে।
ভারতের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী, ফিজির মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী, কম্বোডিয়ার মহিলা বিষয়ক মন্ত্রী, ফিলিপাইনের মহিলা বিষয়ক কমিশনের চেয়ারপারসন, মিয়ানমায়ের সমাজ কল্যাণ ও ত্রাণমন্ত্রী, দক্ষিণ কোরিয়ার জেন্ডার ও পরিবার মন্ত্রী, থাইল্যান্ডের সমাজ উন্নয়ন ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়য়ের সচিব এবং জাপানের নারী উন্নয়ন বিভাগের মহাপরিচালক ভার্চুয়াল এই সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারসহ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।